
শরণার্থীদের জন্যে বরাবরই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার যেকোনো পরিস্থিতিতে তাঁদের পাশে রয়েছে। শরণার্থীদের প্রতি নিজের সেই সহযোগী মানসিকতাকেই ফের স্পষ্ট করলেন এদিন।
আজ,১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ একটি ট্যুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে লেখেন,”আজ আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস। শরণার্থী থেকে অভিবাসী সকলকেই আশ্রয় দেওয়াটা আমাদের মানবিক কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। আমাদের কাছে যাঁরা আশ্রয় চান, তাঁদের বাংলায় ভালো ভাবে থাকার বন্দোবস্তের জন্য আমরা সবরকম চেষ্টা করি।”
প্রসঙ্গত, দেশের যেকোনো প্রান্তে শরণার্থী নিয়ে সমস্যা দেখা দিলেই ত্রাতার ভূমিকায় সবসময় দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ে তিনি যেমন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন,তেমনি অসমের এনআরসি ইস্যুতে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠতে দেখা গিয়েছে নেত্রীকে।
অসম সরকারের ঘোষিত উদ্বাস্তুদের খোঁজখবর নিতে দফায় দফায় অসমে গিয়েছেন নেত্রী। তৃণমূলের প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন পড়শি রাজ্যে। কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বিজেপি বিরোধী আন্দোলনে পথে নেমেছে শাসকদল। পাশাপাশি পড়শি রাজ্যের উদ্বাস্তুদের এদেশে এসে বসবাস করার জন্য আহ্বানও জানিয়েছেন জননেত্রী। ‘এই বাংলা সকলের। সবাইকে এখানে স্বাগত। এখান থেকে কাউকে অন্যায়ভাবে তাড়িয়ে দেওয়া হবে না।’ এমন বার্তাই বারবার ছড়িয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর এই মানবিক মুখ দেখে শরনার্থীরা দফায় দফার প্রশংসাও করেছেন নেত্রীর। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, লোকসভা ভোটের আগে শরণার্থীদের নিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে শরণার্থীদের আবেগকে কাজে লাগানোর জন্যে ফ্রন্টফুটে খেলছেন তিনি। জয়ের সমীকরণ মেনে দাবার ঘুঁটি সাজিয়েছেন তিনি।
ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে
এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
১৯’এর নির্বাচনকে টার্গেট করে তৃণমূলের ভাবমূর্তিকে স্বচ্ছ করতেই এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা কৌশল বলেই মনে করছেন প্রতিপক্ষ শিবির।