
চলতি বছরে শুরুতেই কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে নিয়ে সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে ব্যাপারে তৎপর হয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তাই মাঝে লোকসভা নির্বাচনের সময় এই সমস্ত ব্যাপারে কিছুটা হলেও ঢিল পড়ে। তবে নির্বাচন শেষ হওয়ার সাথে সাথেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে চিটফান্ড কেলেঙ্কারি ইস্যুতে তৃণমূলের একাধিক সাংসদকে জেরার জন্য তলব করা হয়।
যার মধ্যে ছিলেন, শতাব্দী রায় এবং ডেরেক ও ব্রায়েন। ডেরেক ও ব্রায়েন এই গোটা ঘটনাটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করলেও শতাব্দী রায় সারদার ব্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে যত টাকা নিয়েছেন, সেই 29 লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে প্রস্তাব দিয়েছেন। যা নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। আর এরই মাঝে এবার ফের সারদা তদন্তের ব্যাপারে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকে জেরা করল সিবিআই।
ফেসবুকের কিছু টেকনিক্যাল প্রবলেমের জন্য সব আপডেট আপনাদের কাছে সবসময় পৌঁচ্ছাছে না। তাই আমাদের সমস্ত খবরের নিয়মিত আপডেট পেতে যোগদিন আমাদের হোয়াটস্যাপ বা টেলিগ্রাম গ্রূপে।
১. আমাদের Telegram গ্রূপ – ক্লিক করুন
২. আমাদের WhatsApp গ্রূপ – ক্লিক করুন
৩. আমাদের Facebook গ্রূপ – ক্লিক করুন
৪. আমাদের Twitter গ্রূপ – ক্লিক করুন
৫. আমাদের YouTube চ্যানেল – ক্লিক করুন
প্রিয় বন্ধু মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরের নোটিফিকেশন আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারের ব্রাউসারে সাথে সাথে পেতে, উপরের পপ-আপে অথবা নীচের বেল আইকনে ক্লিক করে ‘Allow‘ করুন।
সূত্রের খবর, গত সোমবার তৃণমূলের এই প্রাক্তন সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে তলব করা হয়। আর সেদিনই তদন্তকারী সংস্থার অফিসে এসে জেরার মুখোমুখি হন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী। কিন্তু ঠিক কি কারণে তাকে ডাকল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা! এদিন এই প্রসঙ্গে বাইরে বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, “সিবিআই ডাক পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি হাজিরা দিয়েছি। তদন্তকারীরা কোনো রকম দুর্ব্যবহার করেননি। লুকোনোর কোন কিছু নেই।”
তবে তদন্তকারীদের একাংশের মতে, গত 2011 সালে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন এই দীনেশ ত্রিবেদী। ফলে সেই সময়ে তৃণমূলের হিসেব-নিকেশ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জানবার জন্যই তাকে জেরা করা হয়েছে। পাশাপাশি সারদার টাকা তৃণমূলের অ্যাকাউন্টে গিয়েছিল কিনা, তা জানবার জন্যও তৃণমূলের একসময়কার সাধারণ সম্পাদককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সব মিলিয়ে সারদা কাণ্ড নিয়ে যত দিন আসছে, ততই যেন অস্বস্তি বাড়ছে রাজ্যের শাসকদলের।