
রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা অভিযোগ তুলে আসছে যে, বিরোধীদের দখলে থাকা পঞ্চায়েত, পৌরসভা ও সরকারি সংস্থাগুলোকে কার্যত গুরুত্বহীন করে রাখছে এই সরকার। এমনকী জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা ডাক পেলেও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিরোধীদের দখলে থাকা পৌরসভাগুলিকে ডাকা হয় না বলেও অভিযোগ।
তবে সরকারের তরফে বিরোধীদের সেই অভিযোগকে অবশ্য বারেবারেই খন্ডন করা হয়েছে। কিন্তু এবারে বিরোধীদের তরফে ওঠা সেই অভিযোগকে সত্যি করে দক্ষিণ 24 পরগনার নামখানায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে ডাকই পেলেন না কংগ্রেস পরিচালিত জয়নগর-মজিলপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুজিত সরখেল। কিন্তু যেখানে উন্নয়নের ক্ষেত্রে খোদ মুখ্যমন্ত্রী কোনো রং না দেখে সকলকে উন্নয়নের কাজে সহযোগিতা করার কথা বলছেন, সেখানে কেন মুখ্যমন্ত্রীরই প্রশাসনিক বৈঠকে ডাক পেলেন না রাজ্যের একমাত্র কংগ্রেস পরিচালিত পৌরসভার চেয়ারম্যান?
এদিন এই প্রসঙ্গে জয়নগর-মজিলপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুজিত সরখেল বলেন, “আশা করেছিলাম জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে ডাক পাব। ভেবেছিলাম সেই বৈঠকেই কিছু সমস্যা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরব। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের আমন্ত্রন না জানিয়ে জয়নগরবাসীকে বঞ্চিত করা হল।”
তবে শুধু কংগ্রেস পরিচালিত পৌরসভার চেয়ারম্যানই নন, এদিনের মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রশাসনিক বৈঠকে আমন্ত্রন পাননি দক্ষিণ 24 পরগনার এক বাম বিধায়কও। এ প্রসঙ্গে কুলতলির সিপিএম বিধায়ক রামশঙ্কর হালদার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কোনদিনই বিরোধীদের পছন্দ করেন না। সরকারি বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এর আগেও বিরোধীদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সভাকে প্রশাসনিক বৈঠক না বলে দলীয় সভা বলাই ভালো।”
ফেসবুকের কিছু টেকনিক্যাল প্রবলেমের জন্য সব আপডেট আপনাদের কাছে সবসময় পৌঁচ্ছাছে না। তাই আমাদের সমস্ত খবরের নিয়মিত আপডেট পেতে যোগদিন আমাদের হোয়াটস্যাপ বা টেলিগ্রাম গ্রূপে।
১. আমাদের Telegram গ্রূপ – ক্লিক করুন
২. আমাদের WhatsApp গ্রূপ – ক্লিক করুন
৩. আমাদের Facebook গ্রূপ – ক্লিক করুন
৪. আমাদের Twitter গ্রূপ – ক্লিক করুন
৫. আমাদের YouTube চ্যানেল – ক্লিক করুন
প্রিয় বন্ধু মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরের নোটিফিকেশন আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারের ব্রাউসারে সাথে সাথে পেতে, উপরের পপ-আপে অথবা নীচের বেল আইকনে ক্লিক করে ‘Allow‘ করুন।
কিন্তু যেখানে মুখ্যমন্ত্রী সর্বধর্মবর্ণ নির্বিশেষে উন্নয়নের কথা বলছেন, সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে কেন এভাবে রং দেখে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে? কেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে ব্রাত্য থাকছে বিরোধীদলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এদিন এই প্রসঙ্গে জেলাশাসকের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে এই ব্যাপারে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, “এটা দলীয় সভা নয়। প্রশাসনিক বৈঠক। আমি যতদূর জানি সব পক্ষকেই এতে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে।” তবে বিরোধী বনাম শাসকের এই দড়ি টানাটানিতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে যেভাবে বিরোধীদের ব্রাত্য রাখার প্রশ্নে সরগরম হয়ে উঠছে রাজ্য রাজনীতি, তাতে আদতে যে রাজ্যের সাধারণ মানুষেরাই ক্ষতির মুখে পড়বেন তা নিশ্চিতভাবে বলাই যায়।