
এ যেন শাপে বর! রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুরসভার ২১টি আসনের সব কটিতেই ঘাস ফুল শিবিরের কোনো সদস্য নির্বাচিত হননি। ফলে এই পুরসভা শাসক দলের অধরা রয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এদিন আশ্চর্যজনকভাবেই বিরোধী শিবিরের ১২ জন কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগদান করলেন। ফলে একজন কাউন্সিলার না থাকলেও পুরসভা চলে এল তৃণমূলের দখলে।
একইসঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের তিন কংগ্রেস সদস্যও এদিন তৃণমূলের সদস্য পদ গ্রহণ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। আনুষ্ঠানিক ভাবে ২১ শে জুলাই এই দলবদলের ঘটনা ঘটলেও দল পরিবর্তনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। উল্লেখ্য, তৃণমূলে যোগ দেওয়া ১২ জনের মধ্যে বাম শিবিরের সাত জন, কংগ্রেসের চার জন এবং গেরুয়া শিবিরের এক জন সদস্য ছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিরোধী শিবির।
আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে
——————————————————————————————-
এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।
এমন ঘটনার জন্য দলের নেতৃত্বকেই দায়ী করা হচ্ছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা মুর্শিদাবাদের একচ্ছত্র অধিপতি অধীর চৌধুরী ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বললেন, ”সত্যিই আমরা ব্যর্থ। কোনও রাজনৈতিক কর্মী যদি নীতি আদর্শ বিসর্জণ দিয়ে নিজেকে আলু-পটলের মতো বেচে দেন তাহলে অসহায় ভাবে দেখা ছাড়া উপায় নেই? যতদূর জানি এঁদের কাউকে ভয় দেখিয়ে, কারও পরিবারের সদস্যকে চাকরির টোপ দিয়ে, কাউকে আবার টাকার প্রলোভন দিয়ে ভাঙানো হয়েছে। আর স্থানীয় পুলিশ এঁদের দায়িত্ব নিয়ে কলকাতায় পৌঁছে দিয়েছে।”
একই সুর শোনা গেল বাম পরিষদীয় দল নেতা সুজন চক্রবর্তীর গলাতেও। বাম নেতৃত্বের মতে, ক্ষমতা থাকলে এঁরা বর্তমান পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে নির্বাচনে জিতে দেখাক। আর এটাই যদি পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক সংস্কৃতির দস্তুর হয়ে যায় তাহলে নির্বাচন নামক সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার নামে অর্থ এবং সময়ের অপচয় করে লাভ নেই!
এদিকে দলবদল নিয়ে অধীর চৌধুরীকে কড়া ভাষায় আক্রমন করে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , ”নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা! অধীর চৌধুরী কোন মুখে নীতি আদর্শের কথা বলেন? বাংলায় ৫৫ হাজার কংগ্রেস কর্মীকে সিপিএম খুন করেছিল। তাঁদের হাত ধরেছিলেন অধীরবাবুরা। রাজনীতিতে ওঁদের বিশ্বাসযোগ্যতা বলে কিছু অবশিষ্ট নেই। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে এবং উন্নয়নের কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে এঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।”