
অবশেষে এবার কলকাতাবাসীর জন্য ফের এক নতুন উপহার দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, আজ বিকেল চারটেয় জিঞ্জিরা বাজার থেকে বাটানগর পর্যন্ত নবনির্মিত উড়ালপুলের উদ্বোধন করবেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। জানা গেছে, আউটরাম ঘাটের কাছে গঙ্গাসাগর মেলা গ্রাউন্ড থেকে রিমোটের মাধ্যমেই এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি।
আর মুখ্যমন্ত্রী যখন রিমোটের মধ্যে দিয়ে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন ঠিক তখনই সেই উড়ালপুলের সামনে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। প্রসঙ্গত, প্রথম থেকেই এই উড়ালপুল তৈরির জন্য প্রবল জটিলতা তৈরি হয়েছিল। নিয়মমত জেএনএনইউআরএম প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া এই উড়ালপুলটি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এক তৃতীয়াংশ এবং বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে দুই তৃতীয়াংশ খরচ দেওয়ার কথা ছিল।
ফেসবুকের কিছু টেকনিক্যাল প্রবলেমের জন্য সব আপডেট আপনাদের কাছে সবসময় পৌঁচ্ছাছে না। তাই আমাদের সমস্ত খবরের নিয়মিত আপডেট পেতে যোগদিন আমাদের হোয়াটস্যাপ বা টেলিগ্রাম গ্রূপে। ১. আমাদের Telegram গ্রূপ – ক্লিক করুন প্রিয় বন্ধু মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরের নোটিফিকেশন আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারের ব্রাউসারে সাথে সাথে পেতে, উপরের পপ-আপে অথবা নীচের বেল আইকনে ক্লিক করে ‘Allow‘ করুন।
২. আমাদের WhatsApp গ্রূপ – ক্লিক করুন
৩. আমাদের Facebook গ্রূপ – ক্লিক করুন
৪. আমাদের Twitter গ্রূপ – ক্লিক করুন
৫. আমাদের YouTube চ্যানেল – ক্লিক করুন
কিন্তু ২০১৪ সালের নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সেই জেএনএনইউআরএম প্রকল্পটি বাতিল করে দেওয়া হয়। ফলে কেন্দ্রের দেওয়ার অর্থটি দিতে হয় রাজ্যকেই। অন্যদিকে চুক্তি অনুযায়ী যে বেসরকারি সংস্থা উড়ালপুল বানাবে তারাই টোল বসিয়ে খরচ তুলবে – এই রকম কথা থাকলেও সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে এতে তীব্র আপত্তি জানানো হয়েছিল। তাই সাধারণ মানুষের সমস্ত দাবিকে মান্যতা দিয়ে দু চাকা এবং ছোট গাড়িতে যে টোল লাগবে না সেই ব্যাপারটি জানিয়ে দিয়েছিল রাজ্য। তবে পণ্যবাহী গাড়ি থেকে যে টোল নেওয়া হবে সেই ব্যাপারে সমস্ত কিছু ঠিক করার ভার দেওয়া হয়েছে কেএমডিএর হাতেই।
জানা গেছে, এই উড়াল পুল তৈরিতে খরচ ৩৫০ কোটি টাকার মধ্যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে ৮৭ কোটি টাকা। বাকি টাকা দিয়েছে বেসরকারি সংস্থাটি। তবে খরচ হলেও এই প্রকল্পের জেরে শহরের অনেক মানুষই যে উপকৃত হবেন তা নিয়ে নিশ্চিত রাজ্য প্রশাসন। জানা গেছে, এই উড়ালপুল চালু হয়ে গেলে এবার থেকে তারাতলা থেকে বজবজ যেতে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগবে – যা আগে লাগত এক ঘন্টারও বেশি, পাশাপাশি দক্ষিণ কলকাতার সাথে বাটানগর, পুজালী, বজবজের যোগাযোগও অনেকটা সুদৃঢ় হবে। সব মিলিয়ে কলকাতাবাসীকে যানজট থেকে মুক্তি দিতে আজ ফের নবনির্মিত উড়ালপুলের উদ্বোধন করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।