লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর যখন রাজ্যে দলবদলের হিড়িক পড়ে গিয়েছে, ঠিক তখনই এবার শুরু হতে চলেছে বিধানসভার বাদল অধিবেশন। সূত্রের খবর, আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার থেকে এই অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। প্রথা অনুযায়ী প্রথম দিনই বিভিন্ন দপ্তরের বাজেট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা পাশাপাশি বিগত চার মাস আগে রাজ্যপালের ভাষণের ওপর এদিন বিতর্ক হবে।
তবে শোক প্রস্তাবের পর অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ায় আগামী সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত মোট 10 ঘণ্টা ধরে সেই রাজ্যপালের ভাষণের উপর বিতর্ক চলবে বলে জানা গেছে। অনেকে বলছেন, লোকসভা ভোটে তৃণমূল এই রাজ্যে যে ভাবে ধাক্কা খেয়েছে এবং বিজেপির যেভাবে উত্থান ঘটেছে, আর তাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেভাবে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির শিকেয় উঠেছে, তাতে এবার বিধানসভার অধিবেশনে চরম হইহট্টগোল হতে পারে।
আর আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া এই অধিবেশনে যে চরম বিতর্ক তৈরি হতে পারে, তা নিয়ে বুধবারই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ডাকা বৈঠকে কিছুটা হলেও আভাস মিলেছে। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দাবি যদি না মানা হয়, তাহলে তারা বিদ্রোহ ঘোষণা করবে বলে জানিয়ে দিয়েছে বিরোধীরা।
পাশাপাশি সম্প্রতি দলের কাউন্সিলরদের বৈঠকে কাঠমানি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে কড়া বার্তা দিলে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় রাজ্য রাজনীতিতে। আর এই পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যপালের ভাষণের ওপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য দিতে উঠলে তাকে বিরোধীদের তরফে চেপে ধরা হতে পারে বলে খবর।
জানা গেছে, গতকাল অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে অনাস্থা প্রস্তাবে আলোচনার দাবি, বিরোধীদের ন্যায্য অধিকার, বিধানসভার সরাসরি টিভি সম্প্রচার নিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
ফেসবুকের কিছু টেকনিক্যাল প্রবলেমের জন্য সব আপডেট আপনাদের কাছে সবসময় পৌঁচ্ছাছে না। তাই আমাদের সমস্ত খবরের নিয়মিত আপডেট পেতে যোগদিন আমাদের হোয়াটস্যাপ বা টেলিগ্রাম গ্রূপে। ১. আমাদের Telegram গ্রূপ – ক্লিক করুন প্রিয় বন্ধু মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরের নোটিফিকেশন আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারের ব্রাউসারে সাথে সাথে পেতে, উপরের পপ-আপে অথবা নীচের বেল আইকনে ক্লিক করে ‘Allow‘ করুন।
২. আমাদের WhatsApp গ্রূপ – ক্লিক করুন
৩. আমাদের Facebook গ্রূপ – ক্লিক করুন
৪. আমাদের Twitter গ্রূপ – ক্লিক করুন
৫. আমাদের YouTube চ্যানেল – ক্লিক করুন
এমনকি রাজ্যের এক মন্ত্রীর সাথে সেই বৈঠকেই রীতিমতো বিবাদে জড়িয়ে পড়েন বাম- কংগ্রেসের বিধায়করা। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে শাসকদলের হস্তক্ষেপে সেই বৈঠকে আলোচনা করেন বিধানসভার কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। তবে শাসকদলের ওই মন্ত্রী পরবর্তিতে আর কোনো বৈঠকে থাকলে তারা আর বৈঠকে যোগ দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস এবং বাম বিধায়করা।
এদিকে এদিনের এই বৈঠক থেকে বেরিয়ে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে সদনে দাঁড়িয়ে বলতে হবে কত খুনি, কাঠমানি বিধায়ক বা নির্বাচিত প্রতিনিধি তৃণমূলে রয়েছে। উনি যদি স্রেফ প্রচারের নাটক করে, তাহলে আমরা ওনাকে ছাড়ব না।”
এদিকে এই প্রসঙ্গে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অধ্যক্ষ নিজের বিধি মেনে অধিবেশন চালান। সব সময় তার পক্ষে বিরোধী বা শাসকপক্ষের সমস্ত দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব হয় না। বিরোধীরা কিছু বিষয় জানিয়েছে। আমরাও তাদের ভূমিকা নিয়ে পাল্টা কিছু বিষয় উল্লেখ করেছি। সকলের পরামর্শ বিবেচনা করা হবে।”