
জোটের ব্যাপারে এখনও বাম-কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে বৈঠক সম্পন্ন হয়নি। তবে গত লোকসভা নির্বাচনে জোট না করে যে ভুল তারা করেছিল, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার পরবর্তী নির্বাচনগুলিতে যাতে সমঝোতা করে এগোনো যায়, সেই ব্যাপারে একপ্রকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে এগিয়ে গেল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট এবং বিধান ভবন।
সূত্রের খবর, সামনেই রাজ্যের যে তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন রয়েছে, সেখানে জোট বেঁধে একসাথে লড়াই করতে চায় বাম এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব। তবে প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, তিনটি আসনে হওয়া বিধানসভা উপনির্বাচনে দুটি আসনে কংগ্রেস এবং একটিতে সিপিএম লড়বে। বস্তুত, কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক প্রমথনাথ রায়ের মৃত্যুতে এখন সেই বিধানসভা আসনটি শূন্য রয়েছে।
অন্যদিকে খড়গপুরের বিধায়ক বিজেপির দিলীপ ঘোষ মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ হিসেবে জয়লাভ করার পর সেই কেন্দ্রটিও ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা মহুয়া মৈত্র লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এবং জয়লাভ করায় তার কেন্দ্রটিও শূন্য রয়েছে। ফলে সেই করিমপুর এবং খড়গপুরেও এবারে বিধানসভা উপনির্বাচন হবে।
জানা গেছে, করিমপুরে সিপিএম, আর কালিয়াগঞ্জ এবং খড়্গপুরে কংগ্রেস প্রার্থী দেবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, কালিয়াগঞ্জ এমনিতেই কংগ্রেসের দখলে ছিল। আর খড়্গপুরে দীর্ঘদিনের বিধায়ক ছিলেন কংগ্রেসের প্রয়াত নেতা জ্ঞানসিং মোহনপাল। তবে গত 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাকে হারিয়ে সেখানে জয়লাভ করেছিলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। ফলে এই দুই কেন্দ্রে কংগ্রেসের কিছুটা শক্তি থাকায় সেখানে কংগ্রেসকেই প্রার্থী দিতে সম্মতি দিয়েছেন বামেরা। আর নিজেরা করিমপুর বিধানসভা আসনে প্রার্থী দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই এখানে কে প্রার্থী হবে, তা নিয়েও দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
ফেসবুকের কিছু টেকনিক্যাল প্রবলেমের জন্য সব আপডেট আপনাদের কাছে সবসময় পৌঁচ্ছাছে না। তাই আমাদের সমস্ত খবরের নিয়মিত আপডেট পেতে যোগদিন আমাদের হোয়াটস্যাপ বা টেলিগ্রাম গ্রূপে।
১. আমাদের Telegram গ্রূপ – ক্লিক করুন
২. আমাদের WhatsApp গ্রূপ – ক্লিক করুন
৩. আমাদের Facebook গ্রূপ – ক্লিক করুন
৪. আমাদের Twitter গ্রূপ – ক্লিক করুন
৫. আমাদের YouTube চ্যানেল – ক্লিক করুন
প্রিয় বন্ধু মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরের নোটিফিকেশন আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারের ব্রাউসারে সাথে সাথে পেতে, উপরের পপ-আপে অথবা নীচের বেল আইকনে ক্লিক করে ‘Allow‘ করুন।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস দুই জেলার দুটি আসনের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রদেশ নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে সিপিএম করিমপুরের প্রার্থী ঠিক করার জন্য নদীয়া জেলা কমিটির প্রস্তাবের অপেক্ষায় রয়েছে।
তবে বাম এবং কংগ্রেস সুবিধাজনকভাবে একে অপরকে আসন ছেড়ে দিয়ে সমঝোতা করে আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনে রাজ্যের তিনটি আসনে লড়লেও যেভাবে রাজ্যে বিজেপির উত্থান ঘটেছে, তাতে তারা প্রথম আসন দখল করা তো দূর অস্ত, দ্বিতীয় আসনেও থাকতে পারবে কিনা, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
এদিন এই প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা বলেন, “লোকসভা ভোটে দু’পক্ষের জেদাজেদির জেরে কিছুটা ভুল হয়েছিল। যার ফায়দা বিজেপি পেয়েছে। এখন রাস্তায় নেমে যৌথ আন্দোলনের মঞ্চ তৈরি করে মানুষের সামনে বিকল্প দিতে হবে। সেই বিকল্পের তরফেই ভোটে লড়তে হবে।”
অন্যদিকে বিজেপি এবং তৃণমূলের মোকাবিলার পথ গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ বিকল্পই। এই নিয়ে আর কোনো বিতর্কে অবকাশ নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য। তবে ঠেলায় পড়ে এখন বিজেপি জুজুতে কিছুটা স্তম্ভিত হয়ে বাম এবং কংগ্রেস রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনগুলিতে জোট বদ্ধ হয়ে লড়লেও তাতে আদৌ তারা সাফল্য পায় কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।