
সপ্তাহের প্রথম কর্মব্যস্ত দিনে তৃণমূল কর্মীদের বনধের জেরে তুমুল ভোগান্তির শিকার নিত্যযাত্রীরা। কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের প্রতিবাদে শিয়ালদহ-গেদে শাখার ভায়না স্টেশনে রেল অবরোধ করল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। সত্যজিৎ বিশ্বাসকে খুন করেছে বিজেপি কর্মীরা।
দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে। এই দাবীকে সামনে রেখেই রেল অবরোধ করে তাঁরা। এখনো অবরোধ চলছে বলেই জানা গিয়েছে সূত্রের খবরে। যে রাজনৈতিক দলের নেত্রী বারবার বনধ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সওয়াল তুলেছেন,সেই দলের কর্মী-সমর্থকরাই নিজেদের দাবীদাওয়া মেটাতে বনধকেই হাতিয়ার করল।
কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস হত্যাকাণ্ডের মামলা দিনদিন ক্রমশ জটিল হচ্ছে। এই খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরো রহস্য দানা পাকাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এই খুনের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের অভিযোগ,লোকসভা ভোটের আগে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতে ষড়যন্ত্র করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা খুন করেছে বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে।
হোয়াটস্যাপের কিছু টেকনিক্যাল অসুবিধার জন্য আমরা ধীরে ধীরে হোয়াটস্যাপ সাপোর্ট বন্ধ করে দিয়ে, পরবর্তীকালে শুধুমাত্র Telegram অ্যাপেই নিউজের লিঙ্ক শেয়ার করব। তাই আপনাদের কাছে একান্ত অনুরোধ – প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার খবর নিয়মিত ভাবে পেতে হলে Telegram অ্যাপটি ইনস্টল করুন ও আমাদের Telegram গ্রূপে যোগ দিন। যাঁরা Telegram-এ নতুন, ভয় পাবেন না – এটি হোয়াটস্যাপের মতোই সমস্ত ফিচার যুক্ত এবং আরো আরো সহজে ব্যবহার করা যায়। যোগ দিন আমাদের Telegram Group – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
আর এখনও যাঁরা আমাদের WhatsApp Group-এ যোগ দিতে চান, তাঁরা ক্লিক করুন এই লিঙ্কে (কিন্তু, মনে রাখবেন এই হোয়াটস্যাপ সাপোর্ট আমরা হয়ত খুব বেশিদিন আর চালু রাখব না)
তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন,এই মর্মান্তিক খুনের নেপথ্যে যাদের হাত রয়েছে তাদের সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। পাশাপাশি এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে দলের কর্মীদের যেন কোনো চক্রান্তকারীর ফাঁদে পা না দেন,সেই পরামর্শও দিয়েছেন দলের মহাসচিব।
প্রসঙ্গত,শনিবার সরস্বতী পুজোর রাতে খুন হন নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। এলাকায় জনদরদী নেতা হিসাবে যথেষ্ট পরিচিতি ছিল সত্যজিৎ বাবুর৷ এলাকাবাসীদের প্রয়োজন হোক বা দলীয় কোনো প্রচারমূলক কর্মসূচি সবক্ষেত্রেই সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যেতে এই নেতাকে।
শনিবার সন্ধ্যায় মাজদিয়া ফুলবাড়ি এলাকায় একটি সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছিলেন এই নেতা। আর সেটাই তাঁর জীবনের কাল হয়। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান সত্যজিৎ বাবু। প্রাথমিক তদন্ত সূত্রে জানা গিয়েছে,সরস্বতী পুজোর কারণে বিধায়কের দেহরক্ষী প্রভাস মণ্ডল ছুটিতে ছিলেন ওদিন। ফলত পুজোর অনুষ্ঠানে একাই যেতে হয়েছিল বিধায়ককে।
এ খবর দুষ্কৃতিদের কাছে আগেই ছিল। এছাড়া অনুষ্ঠান চলাকালীন কমপক্ষে ১০-১০ বার লোডশেডিং হয়। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই সত্যজিৎবাবুকে খুন করে চম্পট দেয় আততায়ীরা। এমনটাই জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। তদন্তকারী অফিসারের মতে,পরিকল্পনামাফিকই খুন করা হয়েছিল কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ককে। তবে এই খুনের ঘটনার পর তৃণমূল যেভাবে প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে তাতে দোষীরা রেহাই পাবে বলে মনে হচ্ছে না। এদিনের রেল অবরোধ তৃণমূলের প্রতিবাদের আগুনকেই প্রদর্শিত করল।