
অনেকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। লোকসভা ভোটে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের পরাজয়ের পর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি পদ থেকে বিপ্লব মিত্রকে সরিয়ে সেখানে অর্পিতা ঘোষকে বসানোর পরই বিপ্লব মিত্রের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা মহলে গুঞ্জন শুরু হয়। তৃনমূলের জন্মলগ্ন থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় দলের সংগঠনকে দাঁড় করানো বিপ্লব মিত্র বিজেপিতে যোগ দিলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার শাসকগণের অন্দরে যে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে সেই ব্যাপারে আশঙ্কায় ছিল প্রায় প্রতিটি মহলই।
আর সোমবার বিকেল পাঁচটায় দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের 18 জন সদস্যের মধ্যে জেলা সভাধিপতি সহ 10 জন সদস্যকে নিয়ে সেই বিপ্লব মিত্র পদ্ম শিবিরের পতাকা নিজের হাতে তুলে নিলেন। যার জেরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তৃণমূলের একম অদ্বিতীয়ম নেতা হিসেবে পরিচিত বিপ্লব মিত্র বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় এই জেলার পরবর্তী রাজনৈতিক সমীকরণ ঠিক কি হতে চলেছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।
ফেসবুকের কিছু টেকনিক্যাল প্রবলেমের জন্য সব আপডেট আপনাদের কাছে সবসময় পৌঁচ্ছাছে না। তাই আমাদের সমস্ত খবরের নিয়মিত আপডেট পেতে যোগদিন আমাদের হোয়াটস্যাপ বা টেলিগ্রাম গ্রূপে। ১. আমাদের Telegram গ্রূপ – ক্লিক করুন প্রিয় বন্ধু মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরের নোটিফিকেশন আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারের ব্রাউসারে সাথে সাথে পেতে, উপরের পপ-আপে অথবা নীচের বেল আইকনে ক্লিক করে ‘Allow‘ করুন।
২. আমাদের WhatsApp গ্রূপ – ক্লিক করুন
৩. আমাদের Facebook গ্রূপ – ক্লিক করুন
৪. আমাদের Twitter গ্রূপ – ক্লিক করুন
৫. আমাদের YouTube চ্যানেল – ক্লিক করুন
বিপ্লব অনুগামীদের একাংশের মতে, এতো সবে ট্রেলার শুরু হল। দাদা জেলায় ফিরলে তৃণমূল বলে আর কিছু থাকবে না। অনেকে বলছেন, সারা রাজ্যে সিএম হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ কথা হলেও দক্ষিণ দিনাজপুরে বিএম অর্থাৎ বিপ্লব মিত্রই শেষ কথা। আর তাই তার মত তৃণমূলকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানো নেতা বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে এখন তৃণমূলের ঘর ভাঙতে শুরু করবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
ইতিমধ্যেই জেলা পরিষদ বিজেপির দখলে চলে এসেছে। তবে গঙ্গারামপুর এবং বুনিয়াদপুর পৌরসভা সহ সিংহভাগ পঞ্চায়েত সমিতি এবং পঞ্চায়েতও বিপ্লব মিত্রের নেতৃত্বে বিজেপির দখলে চলে আসবে বলে আশাবাদী গেরুয়া শিবিরের কর্মী সমর্থকরা। তবে বিপ্লব মিত্রের এই দলবদলকে অতটা গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃনমূল। তাদের দাবি, বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন বিপ্লব মিত্র তাতে কোনো লাভ হবে না তিনি চলে যাওয়াতে দলের ভালই হল। কিন্তু সত্যিই কি তাই! তবে মুখে তৃণমূল যাই বলুক জল গড়াচ্ছে অনেকে দূর। তৃণমূলের অন্দরেই নেতা নেত্রীরা এখন কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। দলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে যে বড়সড় পদের লোভ দেখিয়ে আটকানোর চেষ্টা চলছে। ফলে বিপ্লব মিত্র ফিরলেই যে দলবদল হতে পারে এই আশঙ্কার চোরাস্রোতে বইছে তৃণমূলের অন্দরেই।
বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন, বিষয়টিকে যতটা সহজভাবে নেওয়ার চেষ্টা করছেন তৃণমূলের বর্তমান নেতৃত্ব, বিষয়টি অতটা সহজ নয়। এখনও পর্যন্ত প্রায় প্রত্যেকেই তৃণমূলের সাথে থাকলেও বিপ্লব মিত্র জেলায় ফেরার সাথে সাথেই অনেকেই তার হাত ধরে বিজেপিতে নাম লেখাবেন। কেননা তিনি দিনাজপুরের মুকুল রায়। তাঁর হাতেই এখানকার সংগঠন তৈরী। ফলে নেতা কর্মীদের নারী নক্ষত্র তিনি সবটাই জানেন। ফলে তৃণমূলের কে কি চাই সেটাও তাঁর জানা। আর সেই কারণেই দলভাঙ্গাতে তাঁর বেশি সময় লাগবে না। যার জেরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তৃণমূল শূন্য হয়ে যাবে বলে দাবি বিজেপির। তবে কি হবে, তা দেখার জন্য এখন অপেক্ষা করতেই হবে সকলকে।