
পশ্চিমবঙ্গের বিজেপিতে যোগ্য নেতার সংখ্যা যথেষ্ট থাকলেও এই রাজ্যে শক্তিশালী হওয়ার জন্য বিজেপিতে এখনও আরও কর্মীর প্রয়োজন এমনটাই মনে করেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।তাই দলীয় কর্মী সংখ্যা বাড়ানোর জন্য সদস্য সংগ্রহ অভিযান এখনও চলতে থাকবে। এই প্রসঙ্গে, শিলিগুড়িতে একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান,”দলে অনেক যোগ্য নেতা রয়েছেন। তাই আমরা নেতা চাই না। তবে অন্য দল থেকে কর্মীদের চাই। ওই কর্মীদের নিয়েই দল বহরে বাড়বে।”
বস্তুত, লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে অভাবনীয় ফলের পর থেকেই জেলায় জেলায় বিজেপিতে যোগদানের পরিমাণ বাড়ছে। প্রতিদিনই শাসকদল ছেড়ে নেতাকর্মীরা পাড়ি জমাচ্ছেন বিজেপি শিবিরে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় বাম ও কংগ্রেস থেকেও অনেকেই পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছেন।
ফেসবুকের কিছু টেকনিক্যাল প্রবলেমের জন্য সব আপডেট আপনাদের কাছে সবসময় পৌঁচ্ছাছে না। তাই আমাদের সমস্ত খবরের নিয়মিত আপডেট পেতে যোগদিন আমাদের হোয়াটস্যাপ বা টেলিগ্রাম গ্রূপে।
১. আমাদের Telegram গ্রূপ – ক্লিক করুন
২. আমাদের WhatsApp গ্রূপ – ক্লিক করুন
৩. আমাদের Facebook গ্রূপ – ক্লিক করুন
৪. আমাদের Twitter গ্রূপ – ক্লিক করুন
৫. আমাদের YouTube চ্যানেল – ক্লিক করুন
প্রিয় বন্ধু মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরের নোটিফিকেশন আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারের ব্রাউসারে সাথে সাথে পেতে, উপরের পপ-আপে অথবা নীচের বেল আইকনে ক্লিক করে ‘Allow‘ করুন।
তবে সাম্প্রতিককালে হালিশহর ও কাঁচরাপাড়ায় কাউন্সিলরদের একাংশ বিজেপিতে যোগ দিয়েও ফের দলবদল করে ফিরে যাচ্ছেন তৃণমূলে। এমনকি তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করছে যে বাকি কাউন্সিলরদের ও ফিরিয়ে ঐ দুই পুরসভা ফের দখল করবে তৃণমূল। এই দুই পুরসভার বোর্ড গঠনের প্রসঙ্গে দিলীপবাবু জানিয়েছেন, ”বুঝতে পারছি না কে কোথায় আছেন। নির্বাচন হলেই বোঝা যাবে।” তবে একইসঙ্গে তিনি আশাবাদী যে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা কাউন্সিলররা তাঁদের সঙ্গেই থাকবেন।
গতকাল তৃণমূল ভবনে ভোট ম্যানেজার প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ অনুযায়ী তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় বিধায়কদের আচরণবিধী নির্দিষ্ট করেছেন। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে জানান যে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর তৃণমূলের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী বিধায়কদের ডেকে এনে নীতির পরামর্শ দিচ্ছেন।
এইদিন সভায় বক্তব্য রাখার সময় কাটমানি প্রসঙ্গেও তৃণমূলকে আক্রমণ করেন মেদিনীপুরের সাংসদ। তিনি বলেন, ”কাটমানি ওঁরাই নেন, কাটমানি ওঁরাই দেন। বিধায়করা এলাকায় যাবেন কীভাবে ? গেলেই তো লোকে টাকা ফেরত চাইছে। কাটমানি ফেরত না দিলে লোকে কলার ধরবে।” পাশাপাশি তিনি একথাও জানান যে কোনও কোনও জায়গায় কাটমানি ফেরতের এই আন্দোলনে বিজেপি কর্মীরাও সাধারণ মানুষের সঙ্গে আছে।
শিলিগুড়ির সভা সেরে পরেরদিন তাঁর কোচবিহার যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রসঙ্গত কোচবিহারের যে জায়গায় তাঁর কর্মসূচি সেই এলাকায় লোকসভা ভোটের আগে তাঁর গাড়ি ভাঙা হয়েছিল। সেই কথা তুলে দিলীপবাবু চ্যালেঞ্জের সুরে জানান, ”ওখানেই যাব । দম থাকলে আটকাক ।”