
পঞ্চায়েত মামলার দীর্ঘসূত্রিতার দায় কল্যাণ ব্যানার্জির উপর চাপিয়ে দিলেন অধীর চৌধুরী। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে পঞ্চায়েত নির্বাচন মামলা নিয়ে আড়াই ঘন্টা ধরে সওয়াল করে মামলার কোনো ইতি টানতে না পারায় তৃণমূল সাংসদ তথা রাজ্য সরকারের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এদিন বলেন, “আড়াই ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন মামলার রেফারেন্স টেনে গেলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মূল মামলা থেকে সরে গিয়ে অন্য কথায় সময় ব্যয় করলেন।
আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে
তিনি কী বললেন, সব মনে নেই। আমি যদি ওত সব মনে রাখতে পারতাম, তাহলে নোবেল পুরস্কার পেয়ে যেতাম। অধীর চৌধুরীর কথায়, কল্যাণবাবু যে সওয়াল করে গেলেন, তার সারসত্য হল বিচারপতি অনধিকার চর্চা করছেন, তা বোঝানো।” তাঁর অভিযোগ, “মূল মামলা থেকে সরে গিয়ে বিভিন্ন উদাহারণ টেনে এনে রাজ্য সরকারের আইনজীবী তাঁর দীর্ঘ সওয়ালে বারবার একটা কথাই ফিরিয়ে এনেছেন, ভোট প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর তার উপর হস্তক্ষেপ করতে পারে না আদালত। ফলে মামলাটির গ্রহণযোগ্যতাই নেই।” অধীরবাবু বিদ্রুপের সুরে এদিন বলেন, “এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি তাঁকে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়েছেন। তাহলে সুপ্রিম কোর্ট কেন মামলাটি হাইকোর্টে পাঠাল? এর ব্যাখ্যায় আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আগামীকাল ফের এই মামলার শুনানি কতখানি প্রলম্বিত করেন তাঁর উপরই নির্ভর করবে পঞ্চায়েতের ভাগ্য। কল্যাণবাবু ফের বুধবার শুনানি পর্বে তাঁর যুক্তি খাঁড়া করবেন।” তাঁর কথায়, “পঞ্চায়েত ভোট অর্ধেক করেই ফেলেছিল শাসকদল। মনোনয়ন দিতে বাধা দিয়ে, তারপর পুলিশ দিয়ে মনোনয়ন পত্র তুলতে বাধ্য করে, প্রায় অধিকাংশ আসনেই জিতে গিয়েছিল তারা। কিন্তু শেষে এসে তাল কেটে গেল আদালতে। এখন আদালতের এক্সিয়ার নেই, তা-ই প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লেগেছে তৃণমূল, রাজ্য সরকার আর নির্বাচন কমিশন। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস সত্যের জয় হবেই। এই হিংসা, হানাহানি, সন্ত্রাস, রক্তচক্ষু বরদাস্ত করবে না দেশের আইন।”